মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় দিদির সুরক্ষা কবজ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরপরই আজ আমাদের সকলের প্রিয় লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদের মেন্টর
মাননীয় শ্রী অভিজিৎ সিনহা (রানা) মহাশয় তার লাভপুর বিধানসভার অন্তর্গত ঠিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিদির দূত হিসাবে উপস্থিত হয়ে
দলীয় কর্মসূচির শুভ সূচনা করলেন। সকাল সকাল বিধায়ক মহাশয় পৌঁছে যান
ঠিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের লাঙ্গলহাটা শিব মন্দীরে, সেখানে শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে তার সারাদিনের কর্মসূচি শুরু করেন। পরে তিনি উপস্থিত হন ঠিবা অঞ্চল হাইস্কুলে, সেখানে শিক্ষক মহাশয়দের সঙ্গে নিয়ে প্রতিটা ক্লাসে পরিদর্শন করেন,
ছাত্র এবং ছাত্রীদের মাঝে কিছু পড়াশোনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং ছাত্রছাত্রীর নয়নের মনি রানাদা কে পেয়ে কেউ কবিতা এবং কিছু পাঠ্য পড়ে শোনালেন মাননীয় বিধায়ক মহাশয়কে।
তারপর মিড ডে মিল ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন, শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলাপ
আলোচনা করেন, সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন।
এবং তাদের সঙ্গে সময় অতিবাহিত করেন, পরে বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের খাবার আস্বাদন করে খাবারের গুণমান ঠিক আছে কিনা তিনি পর্যবেক্ষণ করেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উনি বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত হয়ে বিদ্যার্থীদের পাঠদান করেন
রেশন ঠিকঠাক পাচ্ছে কিনা দেখেন। সেখানে উপস্থিত যে সকল রেশনধারী ছিলেন সকলেই বিধায়ক মহাশয়ের রেশন পরিদর্শনে খুবই খুশী ও আনন্দীত।
তারপর পদযাত্রা করে ঠিবা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিদর্শন করেন। ডাক্তার বাবুদের সঙ্গে কথাবার্তার মাধ্যমে এবং
স্থানীয় কিছু গ্রামের হাসপাতেলের অসুস্থ বাচ্চাদের দেখাতে আসার ওদের অভিভাবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিধায়ক মহাশয় তাদের উত্তরে খুবই আনন্দিত উপভোগ করেন।
পরে দেখেন আজকে কতজন ঠিবা স্বাস্থ্য কেন্দ্র রোগীদের দেখানো হয়েছে, বা কতোজন রোগী আজকে এসেছিল হাসপাতালে দেখানোর জন্য ।
ঠিবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আশাকর্মীদের চিকিৎসালয়ে ও পরিদর্শন করেন। আশাদিদিদের কিছু সমস্যার কথা জানান, যে আমরা যে ঘরে বাচ্চাদের টিকাকরণ, বা মাতৃদের চিকিৎসার জন্য পরিষেবা দি সেই ঘরখানি একবার রিপেয়ারিং করতে হবে।তার পরিপেক্ষিতে বিধায়ক মহাশয়, সঙ্গে সঙ্গে BMOH সাহেবকে ফোন করে সমাধান করে দেন।
উনি এও বলেন ডাক্তারবাবুকে আপনার পরিষেবার জন্য আমি গর্বিত। আগামীদিনেও এইভাবে সাধারণ গরীব মানুষদের চিকিৎসা করে যাবেন এই আশা রাখছি আপনার কাছে।
তারপরেই ঠিবা গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শন করেন। ঠিবা গ্রামপঞ্চায়েত আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন, উনাদের
উত্তরেও বিধায়ক মহাশয় আনন্দ প্রকাশ করেন।
বিধায়ক মহাশয় সংঘের মহিলাদের স্বনির্ভর দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন। লাভপুরের মাননীয় বিধায়ক মহাশয় বলেন, আমি এটাই চেয়েছিলাম, স্বপ্নের লাভপুর, যেখানে কোন দাঙ্গা থাকবে না, কোন হিংশা থাকবে না। থাকবে শুধু
গরীব দুঃখি মানুষের পরিষেবা। ঠিবা গ্রামপঞ্চায়েতের মিটিং হলে গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরে কিছুক্ষণ আলোচনা করেন।
দুপুরে মাননীয় বিধায়ক মহাশয় কান্দরকূলা গ্রামে শ্রী উৎপল মন্ডলের বাড়িতে সকলের সাথে বসে
মধ্যাহ্নভোজন সারেন।
এরপর দুপুর তিনটার সময় ঠিবা পঞ্চায়েতে, ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে সভা করেন। উপস্থিত ছিলেন মান্নান সাহেব, শ্রী তরুণ চক্রবর্তী, প্রবীর পাঠক, হীরণ মল্লিক, অঞ্চল সভাপতি সাহিন কাজী, অঞ্চল প্রধান মিঠুন কাজী, ও লালু পাল, এবং অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।
সভা শেষে বিধায়ক মহাশয় আজকের মত কর্মসূচি সমাপ্তি করেন। আজ সারাদিন মাননীয় বিধায়ক মহাশয় নানাবিধ দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকার আবালবৃদ্ধবণিতা
সকলের সাথে আলাপ আলোচনা, কুশল বিনিময়, তাদের সুবিধা ও অসুবিধার কথা শোনেন এবং পাশে ছিলাম- পাশে আছি- পাশে থাকবো এই বার্তা দেন। আমাদের প্রিয় বিধায়ক মহাশয় কে আজকে যেন অন্যরূপে মানুষের পাশে থাকার
চির অঙ্গীকারবদ্ধ এক মহামানব রূপে প্রতীয়মান হতে দেখা যায়। আজ সারা দিনের কর্মসূচিতে মাননীয় বিধায়ক মহাশয়ের সফর সঙ্গী হয়েছিলেন ঠিবা অঞ্চলের নেতৃত্ববৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।