আজ লাভপুর হাটতলা ফুটবল খেলার মাঠে লাভপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন হয়ে গেল। প্রায় ৩ হাজার কর্মী নিয়ে এই সম্মেলন বিশাল ভাবে অনুষ্ঠিত হলো। আমাদের মাননীয় সর্ব জনপ্রিয় বিধায়ক শ্রী অভিজিৎ সিনহা রানাদা দীর্ঘ ২৯ মিনিট যে ভাষণ দিয়েছেন তাতে স্পষ্ট হয়ে গেল যে উনি লাভপুর বিধানসভার উন্নয়নের জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। উনার ২৯ মিনিটের মহামূল্যবান ভাষণের একটাই অর্থ ছিল আমরা চাই শুধু কাজ। আমরা অশান্তি চাইনা। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান চাই।
আমরা কোন অশান্তি চাইনা। ধর্মীয় বিভেদ চাই না। লাভপুর বিধানসভা এলাকা ধনধান্যে পরিণত হবে এটাই ওনার মূল উদ্দেশ্য। উনি যেদিন থেকে লাভপুরের দায়িত্ব নিয়েছেন সেদিন থেকেই লাভপুরে আর কোন বোমাবর্ষণ হয় না। খুনোখুনি হয়না। দাঙ্গা হয় না। উনি বার বার বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করলেন লাভপুরের বুকে কোনো অশান্তি যেন কেউ না করতে পারে। যদি কেউ অশান্তি করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। সমস্ত বুধ ভিত্তিক কর্মীদের সাবধান করে দিয়ে বললেন তারা যেন কোনো কুকর্মে লিপ্ত না হয়। তারা যেন পার্টি'র অনুশাসন মেনে, দিদির অনুশাসন মেনে, মানুষের সেবা করে যান। তিনি আরো বললেন যত রকমের প্রশাসনিক স্তর থেকে সহযোগিতা লাগবে তিনি দিয়ে যাবেন সর্বসাধারণের কল্যাণের জন্য।
আজ সত্যিই বলতে গর্ব হচ্ছে যে আমরা লাভপুরের মাটিতে একজন বলিষ্ঠ একনিষ্ঠ মানবপ্রেমী মানবদরদী মহান মানুষকে পেয়েছি এমএলএ হিসাবে। বহুকাল থেকে আমরা দেখে আসছি লাভপুরের কোনো উন্নয়ন হয়নি। আজ উনি আসার পর থেকে যে উন্নয়ন হয়েছে তা সারা বাংলার বুকে একটা বিশাল আলোকপাত করেছে। লাভপুরের উন্নয়নের কান্ডারী। উনি আরো বলেছেন লাভপুরে ফায়ার ব্রিগেডের অফিস হবে। লাভপুরে কলেজে এমএ ক্লাস চালু হবে। লাভপুরে পরিবহনের স্টেট বাসের ডিপো হবে। শুধু তাই নয় লাভপুরের রাস্তায় রাস্তায় জ্বলবে আলো। আজ আমরা লাভপুর বাসী হিসাবে এই সুযোগ-সুবিধা কোনদিন পাইনি। তাই আমি বলবো হৃদ মাঝারে রাখবো তোমায় রানাদা....ছেড়ে দেব না। যোগাচার্য্য ডঃ সুশীল ভট্টাচার্য্য, সহ-সভাপতি, বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।